Full width home advertisement

Post Page Advertisement [Top]

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান চাঁদে খোঁড়াখুড়ি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আর এখন পর্যন্ত চাঁদে দুর্লভ উপাদানের সন্ধানে প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে মোট ২৬টি প্রতিষ্ঠান। চাঁদের বুকে পানি, জ্বালানিসহ মূল্যবান উপাদান এবং শক্তি উৎপাদনকাজে ব্যবহারযোগ্য উপাদান পেতেই এ খোঁড়াখুড়ি। খবর ডেইলি মেইল-এর।

চন্দ্র বিজয়ের ৩৮ বছর পরে চাঁদে দুর্লভ উপাদানের অস্তিত্ব রয়েছে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। বিভিন্ন কোম্পানির আগ্রহের মুখে চাঁদ তাই আবারও একটি ‘কাক্সিখত গন্তব্যে’ পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোম্পানি পৃথিবী থেকে স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়ে চাঁদে খোঁড়াখুঁড়ি করতে চাইছে।

গবেষকরা বলছেন, চাঁদে পানি-বরফের বিশাল ভাণ্ডার ছাড়াও মিথেন গ্যাস রয়েছে। তবে চাঁদে সবচেয়ে দুর্লভ যে উপাদানটির খোঁজ মিলেছে তা হলো ‘হিলিয়াম ৩’। এ উপাদানটি পরিবেশ দূষণরোধী ফিউশন রিঅ্যাক্টর হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রোবটিক টেকনোলজি ছাড়াও আরো ২৫ টি প্রতিষ্ঠান চাঁদে রোবট পাঠিয়ে খোঁড়াখুঁড়ি করার পরিকল্পনা করেছে।

অ্যাস্ট্রোবটিক টেকনোলজি’র ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘বরফ, মিথেন, অ্যামোনিয়াসহ অনেক মূল্যবান উপাদানই অ্যাপোলোর চন্দ্র বিজয়ে অজানা ছিলো। কিন্তু এখন জানা গেছে, চাঁদে এমন উপাদান রয়েছে যা শক্তির একটি যুগান্তকারী উৎস হতে পারে। এ উপাদানটির নাম হিলিয়াম ৩। এ উপাদানটি পরিছন্ন ফিউশন প্ল্যান্টে ব্যবহৃত হতে পারে। এটি তেজস্ক্রিয়ামুক্ত এবং অল্পতেই বেশি শক্তি তৈরি করে। জানা গেছে, গাড়ির ফুয়েল ট্যাংকের মতো একটি ট্যাংক হিলিয়াম ৩ দিয়ে ভর্তি করতে পারলেই তা থেকে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে এক বছরের শক্তি যোগানো সম্ভব হবে।’
অ্যাস্ট্রোবটিক টেকনোলজি’র প্রেসিডেন্ট ডেভিড গাম্প জানিয়েছেন, ‘আমাদের সম্ভাবনা থাকলেও প্রতিদ্বন্দিতার মুখে পড়তে হচ্ছে। প্রায় ২৬ টি কোম্পানি চাঁদে খোঁড়াখুড়ির জন্য মুখিয়ে আছে এবং চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
 . . .সংগ্রহ . . .

No comments:

Post a Comment

Bottom Ad [Post Page]